চিটফান্ড কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলযাত্রা সুমনের। সেই প্রেক্ষিতে কলম ধরলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী অনুপ হোমরায়
চিটচোর। পরপর তিন সাংবাদিকের জেলযাত্রা। প্রথম দুইজনের জেলযাত্রা আগে হয়েছে। পরে খালাস হয়েছেন। কিন্তু মাঝেমাঝেই ডাক পড়ে । তৃতীয়জন সবে হেফাজতে গেছেন। তিনজনের বিরুদ্ধেই সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে।
বিষয়টা অন্য। গতকাল গ্রেট (?) সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই আইকোর চিটফাণ্ড কোম্পানির টাকা মারার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু বাংলার তথাকথিত স্বঘোষিত প্রথম সারির মিডিয়াকুল চুপচাপ। যাদের কাগজ পড়তে হয়। না পড়লে নাকি পিছিয়ে পড়তে হয়। যারা দিনের মধ্যে পাঁচশোবার ঘোষণা করেন যে দিনের সেরা বারোটি খবর তাদের টিভি চ্যানেলে দেখবার জন্য বাছাই করে দেবেন। গতকাল কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে সুমনের গ্রেফতারের খবর দেখায়নি। গণশক্তি (যারা নিরপেক্ষ নয়), বর্তমান (যারা শুধুই ভগবানকে ভয় পায়), আনন্দবাবুদের নাম না করে নামমাত্র উল্লেখ ছাড়া আমার দেখা আজকের কোনো প্রিন্ট মিডিয়াতে খবরটা নেই। কারণটা কি???
রাষ্ট্র বিজ্ঞানে ইংরেজির ছটি শব্দে একটি সংজ্ঞা আছে। "Out Law", অর্থাৎ কোনো ব্যাক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে রাষ্ট্র তাকে শাস্তি না দিয়ে " Out Law" করে দেয়। মানে দণ্ডিত ব্যাক্তি তার রাষ্ট্র নির্দিষ্ট কোনো সুরক্ষা পাবেনা।
সেইরকম ভাবে মিডিয়া তাদের পছন্দের সহকর্মীর কুকর্মের খবর গ্রাহকদের দেবেনা। ভাবটি এমন, পারলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জেনে নাও। কিন্তু কুনাল ঘোষ গ্রেফতার হলে খবরটি গুরুত্ব দিয়ে গ্রাহকদের জানাবে। কিন্তু মহাজ্ঞানী মহামানব সুমন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের খবর হয় দেবেনা, নয় নমো নমো করে দেবে।
তবে কি চোর-তথা-স্বঘোষিত প্রথম সারির মিডিয়ার সংহতি? না যুগলবন্দী!
(মতামত লেখকের নিজস্ব)
প্রসঙ্গত সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে 'এই সময়' সংবাদপত্রের নবনিযুক্ত সম্পাদক হলেন রূপায়ন ভট্টাচার্য। একদা 'আনন্দবাজার পত্রিকা' ছেড়ে আসা এই সাংবাদিক 'এই সময়' পত্রিকাতে ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। চিটফান্ড কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায়কে গতকাল গেপ্তার করে সিবিআই।
চিটচোর। পরপর তিন সাংবাদিকের জেলযাত্রা। প্রথম দুইজনের জেলযাত্রা আগে হয়েছে। পরে খালাস হয়েছেন। কিন্তু মাঝেমাঝেই ডাক পড়ে । তৃতীয়জন সবে হেফাজতে গেছেন। তিনজনের বিরুদ্ধেই সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে।
বিষয়টা অন্য। গতকাল গ্রেট (?) সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই আইকোর চিটফাণ্ড কোম্পানির টাকা মারার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু বাংলার তথাকথিত স্বঘোষিত প্রথম সারির মিডিয়াকুল চুপচাপ। যাদের কাগজ পড়তে হয়। না পড়লে নাকি পিছিয়ে পড়তে হয়। যারা দিনের মধ্যে পাঁচশোবার ঘোষণা করেন যে দিনের সেরা বারোটি খবর তাদের টিভি চ্যানেলে দেখবার জন্য বাছাই করে দেবেন। গতকাল কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে সুমনের গ্রেফতারের খবর দেখায়নি। গণশক্তি (যারা নিরপেক্ষ নয়), বর্তমান (যারা শুধুই ভগবানকে ভয় পায়), আনন্দবাবুদের নাম না করে নামমাত্র উল্লেখ ছাড়া আমার দেখা আজকের কোনো প্রিন্ট মিডিয়াতে খবরটা নেই। কারণটা কি???
রাষ্ট্র বিজ্ঞানে ইংরেজির ছটি শব্দে একটি সংজ্ঞা আছে। "Out Law", অর্থাৎ কোনো ব্যাক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে রাষ্ট্র তাকে শাস্তি না দিয়ে " Out Law" করে দেয়। মানে দণ্ডিত ব্যাক্তি তার রাষ্ট্র নির্দিষ্ট কোনো সুরক্ষা পাবেনা।
সেইরকম ভাবে মিডিয়া তাদের পছন্দের সহকর্মীর কুকর্মের খবর গ্রাহকদের দেবেনা। ভাবটি এমন, পারলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জেনে নাও। কিন্তু কুনাল ঘোষ গ্রেফতার হলে খবরটি গুরুত্ব দিয়ে গ্রাহকদের জানাবে। কিন্তু মহাজ্ঞানী মহামানব সুমন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের খবর হয় দেবেনা, নয় নমো নমো করে দেবে।
তবে কি চোর-তথা-স্বঘোষিত প্রথম সারির মিডিয়ার সংহতি? না যুগলবন্দী!
(মতামত লেখকের নিজস্ব)
প্রসঙ্গত সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে 'এই সময়' সংবাদপত্রের নবনিযুক্ত সম্পাদক হলেন রূপায়ন ভট্টাচার্য। একদা 'আনন্দবাজার পত্রিকা' ছেড়ে আসা এই সাংবাদিক 'এই সময়' পত্রিকাতে ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। চিটফান্ড কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায়কে গতকাল গেপ্তার করে সিবিআই।
0 Comments