আপনার বাচ্চা কি ফোন বা ভিডিও গেমে আসক্ত? সাবধান! সমীক্ষা বলছে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে ভবিষ্যৎ

বিশেষ নিবন্ধ, লিখেছেন - মৌসম রেহমানঃ আপনার প্রিয় বাচ্চাটিকে খুব ভালোবাসেন! তাইতো? তা তো হবেই। তাকে সামান্য আনন্দ দেওয়ার জন্য আপনি হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল। অথচ আপনি হয়তো জানেন না মনের অজান্তেই আপনি কী সর্বনাশ করছেন আপনার প্রিয় সন্তানের। যে সব বাচ্চারা দিনের প্রায় ৭-৮ ঘন্টা স্মার্ট ফোন, ভিডিয়ো গেম খেলে কাটায়, তাদের মস্তিষ্কের বাহ্যিক স্তরের তরলীকরন (Premature Thinning of Cortex) বা পাতলা হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রাথমিকভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে একটি স্টাডি রিপোর্ট অনুযায়ী।
শৈশবের অভ্যাস শিশুদের চিন্তাভাবনায় ও মস্তিষ্কে কেমন প্রভাব ফেলে জানতে ইউনাইটেড স্টেট ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ্ দ্বারা নিহিত অনুশীলনে এক দশকের প্রায় ১১,০০০ শিশুর উপর পরীক্ষা করা হয়েছে। Adolescent Brain Cognitive Development এর বিশেষঞ্জরা প্রথম দফায় ৪৫০০ অংশগ্রহনকারী শিশুর মস্তিষ্ক নিরীক্ষন করে এটাই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে যেসব শিশু দিনের প্রায় ৭-৮ ঘন্টা মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট কিংবা ভিডিও গেমে অতিবাহিত করে তাদের মস্তিষ্কের বহিরাবরনে তরলীকরন লক্ষ করা গেছে। পূর্ববর্তী স্টাডি রিপোর্ট থেকে দেখা গিয়েছে সারাদিনে ২ ঘন্টার বেশি স্ক্রিন-টাইম অর্থাৎ ফোন, ট্যাবলেট অথবা ভিডিও গেমে সময় অতিবাহিত করা শিশুদের পক্ষে ক্ষতিকারক। যে সমস্ত শিশুরা দিনে ২ ঘন্টার বেশি এসব জিনিসে সময় অতিবাহিত করে তাদের পরীক্ষায় কম স্কোর করার পাশাপাশি ভাষা ও চিন্তার বিকাশের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
ডঃ গায়া ডাউলিং, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এর ডিরেক্টর, নিরীক্ষনে কিছু ভিন্ন রকম তথ্য সামনে এসেছে, যে পার্থক্য টা দেখতে পাচ্ছি সেটা দিয়ে এখনি পুরোপুরি সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ হবে না। তিনি আরও বলেন যে শিশু মস্তিষ্কের এমন পরিবর্তন আদেও অধিকমাত্রায় ফোন, ট্যাবলেট কিংবা ভিডিও গেম ব্যাবহারের ফলস্বরূপ কিনা বা কি রকম কি রকম ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলবে তা স্টাডি সম্পূর্ণ হবার পর বলা যাবে এবং তার জন্য সময়ের প্রয়োজন।
Image Credit : Phys Org

Post a Comment

0 Comments