অনকে পূজা করেন রীতি অনু্যায়ী। তবে এই কার্তিক পুজার সব থেকে বৈশিষ্ট্য হলো
অন্যের বাড়িতে কার্তিক দেওয়া। কথিত বা প্রচলিত আছে /ছিল যাদের বিয়ের পর দীর্ঘদিন সন্তান হতনা তাদের বাড়িতে বন্ধুরা কার্তিক দিত। এখন তো বিয়ে হলেই কার্তিক দিচ্ছে। কোনও নববধূ গর্ভবতী থাকলেও কার্তিক দিচ্ছে। মানে দিলেই হলো। বিষয়টা খুবই আনন্দের। ভালো লাগারও। তবে আপত্তি একটা জায়গাতে ...
করো বাড়িতে কার্তিক দিলে সকলেই বলে... তোর /তোমার। বেটা এসেগেছে/ছেলে এসেগেছে। কেউ সন্তান এসেছে বলে না।
সন্তান বললে ছেলে মেয়ে উভয়কেই বলা হবে। আমরা ছেলে বলি!
কেন বেটি এসেছে/ মেয়ে এসেছে বলিনা? এই প্রশ্নই তুলেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা সমীর পণ্ডিত। তাঁর কথায়, শুধু পুত্র সন্তানকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে? ছেলে বা মেয়ে সকলেই তো সমান। তাহলে কি আজও আমরা মেনে নিতে পারছি না সমতার কথা?
নিজের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন সমীর পণ্ডিত। তিনি বলেন, হ্যাঁ আমারও অভিজ্ঞতা হয়েছে। ক্লাব থেকে আমাকে কার্তিক দেওয়া হয়েছে প্রচলিত রীতি অনুসারে। সেই একই কথা বেটা এসেছে/ছেলে এসেছে ইত্যাদি।
আমি মন থেকে মেনে নিতে পারিনি, তাই
কার্তিক দেওয়ার পর আবার লক্ষ্মীও দিয়েছে। একপ্রকার জোর করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে। ছেলে কেনো হবে ? মেয়েও তো হতে পারে। হোকনা পরের বছর থেকে দুটোই দেওয়া হোক কার্তিক আর লক্ষ্মী ।
আর সকলে বলুক ছেলে মেয়ে এসেছে।
প্রসঙ্গত, সমীর পণ্ডিত একজন চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক। তাঁর বাড়িতে এই প্রথম বিরল ঘটনা। বলা যায় ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই প্রথম। ঘটনাটির কেন্দ্রবিন্দু বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস থানার বাজিতপুর গ্রামের প্রতিরোধ বাহিনী ক্লাব।
0 Comments