ফোনে রক্তদানের আর্তি, কালক্ষেপ না করেই রক্ত দিলেন ডাক্তারি পডুয়া সামিনুর

নিজস্ব প্রতিবেদন, বেঙ্গল মিরর: নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্তের জন্য কত রোগীর চিকিৎসা আটকে থাকে, মারাও যান অনেকে। ফেসবুকে, ফোনে কতোই না মানুষ রক্তদানের আর্তি জানান। কিন্তু আমরা কজন সেই আবেদনে সাড়া দিই? এই বিতর্ক না হয় থাক, এমনও তো আছে - যাঁরা কালক্ষেপ না করেই ছুটে যান রোগীর কাছে, রক্তদানের ব্রত নিয়ে। তাঁদেরই একজন সামিনুর আলম।


প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাসিন্দা উজদার আলি জন্ম থেকে রক্তবমির রোগী।এখন রক্তবমির পাশাপাশি পায়খানার সঙ্গে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে তার। পেশেন্টের হিমোগ্লোবিন 3.6gm/dl, তার রীতিমতো রক্তক্ষরণ হওয়ার জন্য রক্তের খুব প্রয়োজন ছিল। রোগীর বাড়ির লোক কলকাতার সমস্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে এ পজেটিভ ব্লাড এর খোঁজ করেন, কিন্তু কোথাও পাননি। এরপর পলাশীর ওসমানরা রাত ৯ টার দিকে রক্তদানের আর্জি নিয়ে ফোন করেন ডাক্তারি পডুয়া সামিনুর আলমের কাছে। বলা হয়, বছর ২৩-এর উজদার আলির জন্য ব্লাড দিতে হবে। ফোন করার পর এতটুকুও সময় নেয়নি সামিনুর। কালক্ষেপ না করেই হ্যাঁ বলে দিয়েছে সে। গতকাল সাড়ে ন'টার সময় ব্লাড ব্যাঙ্কে ব্লাড দিতে যায় সে কিন্তু সেখান থেকে বলা হয় যে আজ মঙ্গলবার সকাল ন'টার সময় ব্লাড নেওয়া হবে। ডাক্তারদের পরামর্শে আজ সকালে টিফিন করে সামিনুর পিজি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তদান করেন।

উল্লেখ্য, সামিনুর আলমের বাড়ি বীরভুম মুরারই। বর্তমানে সে এসএসকেএম বা পিজি হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ছে, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি জানান, এরকম বহুবার সে রক্তদান করেছে। এই রকম রোগীকে ইমার্জেন্সি ভিত্তিতে রক্তদান করে সে খুবই আনন্দিত। তার কথায়, খুব ভালো লাগছে, আবার তিন মাসের অপেক্ষায় রইলাম, তিন মাস পূরণ হলেই আবার রক্ত দেব। এইভাবে মানুষের পাশে থেকে জীবনটা কাটাতে চাই। 

Post a Comment

0 Comments