বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি যে আমাদের প্রতিদিনের আবর্জনা কোথায় যাচ্ছে? সেটি কি আমাদের কোনোরকম ক্ষতি করছে? প্রতিনিয়ত আমরা শুনি পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে। কিন্তু আমরা কতটা সজাগ হয়ে উঠতে পেরেছি, এই প্রশ্ন ওঠা দরকার। কেননা, এ নিয়ে একটা ঘটনা ঘটে গেল বিহারের ঔরঙ্গবাদ জেলায় পইওয়ান গ্রামে। হঠাৎ ঘনজনবসতিপূর্ণ গ্রামের পাশে সরকারি সম্পত্তির উপরে গাড়ি ভর্তি শহরের আবর্জনা জমা করতে শুরু হয়। গ্রামবাসী জানতে পারে যে, জেলাশাসক ও পৌরসভা থেকে এই জায়গাকে ঔরঙ্গবাদ মিউনিসিপালিটির আবর্জনা স্তূপ বা ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে সমগ্র মিউনিসিপালিটির ময়লা আবর্জনাসহ সেখানে মৃত পশু ও হসপিটালের আবর্জনা মিলিত থাকছিল। ফলে গ্রামবাসীরা ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য রোগ আক্রান্ত হচ্ছে এবং গ্রামবাসী এই দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। গ্রামের ঐতিহ্য ও পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য গ্রামবাসী আবেদন করে জেলা অধিকারীর কাছে। কাছে কিন্তু তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তখন তারা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের কাছে আবেদন করে বিচার পাওয়ার আশায়। গ্রামবাসীর প্রতিনিধি হিসাবে বিপিন মিশ্র ও রাহুলকিশোর দ্বারস্ত হন অ্যাডভোকেট বেনজির শেখ ও ইব্রাহিম শেখের কাছে। তারপরআসে জয়।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন আইনের লড়াইয়ের পরে ৭ ডিসেম্বর বিচার পাব গ্রামবাসী। জেলা প্রশাসনকে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে এবং জায়গাটিকে পুনরুদ্ধার করার নির্দেশ দেয়আদালত। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুলস ২০১৬ র সাইট স্পেসিফিকেশন বলা হয়েছে, সাইট নির্বাচনের মানদণ্ড হবে ক) ১০০মি. নদী থেকে দূরে, খ) ২০০ মি. পুকুর থেকে দূরে, গ) ২০০ মি. হাইওয়ে থেকে দূরে, ঘ) ২০০ মি. দূরে বাসস্থান, পাবলিক পার্ক এবং ঙ) ২০০ মি. জল সরবরাহ কূপ থেকে দূরে। যা এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড উলঙ্ঘন করে।
এই রায়ের পরে অতি তৎপরতার সঙ্গে জেলাশাসক ডাম্পিং গ্রাউন্ড সমস্ত আবর্জনা অপসারণ করে ও জায়গাটি পুনরুত্থান কাজ শুরু করে দেয়। গ্রামবাসীরা সরকারি আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ জানান জায়গাটিকে জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করার জন্য।
0 Comments