রাজ্যের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ভাওতাবাজি? জবাব চাইতে কমিশন অভিযান কংগ্রেসের

নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গল মিরর: সংখ্যালঘুদের নানান দাবি-দাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু বিভাগ। ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে এর আগে রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড ঘেরাও করেছিল কংগ্রেসের এই শাখা সংগঠন। কলকাতায় একাধিক বার পথেও নেমেছে এই সংগঠন। এবার রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশন অভিযান করল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু বিভাগ। সোমবার দেশজুড়ে পালিত হয় সংখ্যালঘু দিবস। আর ঠিক সেই দিনকেই আন্দোলনের জন্য বেছে নিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু বিভাগ।

এই দিনের কর্মসূচি নিয়ে এই সংগঠনের নেতা শামীম আক্তার জানান, আমরা মূলত পাঁচটা দাবি নিয়ে সংখ্যালঘ কমিশন অভিযান করলাম। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ভাওতাবাজি করছে। সংখ্যালঘুদের কোনও উন্নয়ন হয়নি শুধু প্রচার করা হচ্ছে। রাজ্যের ওয়াকফ সম্পত্তি দিনের পর দিন লুট হয়ে যাচ্ছে, সরকার ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শামীম আক্তার প্রশ্ন তোলেন, একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে সিবিআই তদন্ত হবে, কিন্তু আজও কেন সেই তদন্ত হল না?

দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যের সমস্ত ওয়াকফ সম্পত্তি দখল হয়ে যাচ্ছে, কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে ওয়াকাফকে ব্যবহার করছে। আগামীতে যাতে এটা না হয় তার জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি আমরা তুলছি। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের ইমামদের মাসিক সাত এবং মুয়াজ্জিনদের কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ১০ হাজার মাদ্রাসা চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু প্রায় দশ বছর কেটে গেলেও তার কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ তুলে অবিলম্বে ১০,০০০ মাদ্রাসা অনুমোদনের দাবি তুলছে প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু বিভাগ। তাদের আরও দাবি, ওয়াকফ সম্পত্তি কোথায় কি অবস্থায় আছে তা বিস্তারিত আকারে ওয়েবসাইটে দিতে হবে, যাতে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে সেই সম্পত্তির সমস্ত তথ্য থাকে। এছাড়াও উর্দুকে রাজ্যের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেসব এলাকায় উর্দুভাষী জনজাতির মানুষ বসবাস করেন সেখানে উর্দু সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃত হলেওআজও কার্যকরী হয়নি বলে অভিযোগ। অবিলম্বে রাজ্যের উর্দুভাষী অঞ্চলে উর্দু ভাষার স্বীকৃতির দাবী জানাচ্ছে কংগ্রেস। 

প্রসঙ্গত, এইসব দাবি-দাওয়া নিয়ে এদিন দুপুরে স্টেটম্যান হাউসের সামনে কংগ্রেসের তরফে জমায়েত হয়। তারপর মিছিল সহযোগে কংগ্রেস কর্মীরা খাদ্য ভবনের কাছে সংখ্যালঘু কমিশনের অফিসে যান। তারা নিজেদের দাবি তুলে ধরেন। জুনেদ, আশফাক আহমেদ সহ কয়েকশো কংগ্রেস কর্মী ছিলেন এদিনের কর্মসূচিতে।