জাহানারা খাতুন
যেকোনো গাড়ি চালাতে হলে মানতে হবে সরকারি নিয়ম। আর নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দূষণ নিয়ন্ত্রণের সার্টিফিকেট থাকাও বাধ্যতামূলক। কিন্তু তা পেতে কালঘাম ছুটছিল গাড়ির মালিকদের। এবার সেই
দূষণের শংসাপত্র অর্থাৎ সরকার নির্ধারিত সীমার নিচে দূষণ আছে এই ছাড়পত্র পেতে কমল আইনি জট।
ট্র্যাফিক আইন ভাঙার জন্য ধার্য জরিমানা সংক্রান্ত বিষয় নির্দেশিকা থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠন চিঠি দিয়েছিল পরিবহণ সচিবকে। এর পরেই সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন দফতরের আধিকারিকরা। এবার ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাণিজ্যিক বা ব্যক্তিগত গাড়ি— সব ক্ষেত্রেই দূষণের সার্টিফিকেটে কড়াকড়ি ছিল। পরে বাস, মিনিবাস, অ্যাপ-ক্যাব এবং স্কুলগাড়ির একাধিক পরিবহণ সংগঠন আপত্তি জানায়। তাদের অভিযোগ, রাস্তায় ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে জরিমানা আগের চেয়ে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০ টাকা হয়ে গিয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই ওই সব মামলা হয় চালকের অজান্তে। অতীতে এমন ধার্য জরিমানা নিয়ে লোক আদালতে যাওয়ার সুযোগ ছিল। নতুন নির্দেশিকায় সেই সুযোগ নেই। বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স’ ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে পরিবহণ সচিবের কাছে চিঠি দেয়। তার পরেই বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসে সংশ্লিষ্ট পোর্টালে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে জরিমানা যুক্ত করার বিষয়টি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে দফতর সূত্রের খবর। এই নিয়ে পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনের বক্তব্য, এর ফলে অনর্থক আর্থিক বোঝা কমবে।
0 Comments