জাহানারা খাতুন
শীতের রাতে কাশতে কাশতে প্রায় দম বন্ধ হয়ে আসে বা বমি আসে ? ভীষন সর্দি- কাশিতে কফ জমে ঘড় ঘড় শব্দ করে? বিভিন্ন রকম সিরাপ বা ওষুধ ব্যবহার করেও লাভ পাচ্ছেন না?
তাহলে, আসুন আমরা জেনে নিই কিভাবে বাড়ির আনাচ-কানাচ এবং আমাদের রান্নাঘরে থাকা বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারি এই সর্দি- কাশির এক অব্যর্থ দাওয়াই?
🔸উপকরণ : তুলসীপাতা আট-দশটা, তেজপাতা একটা, আদা হাতের আঙ্গুল মেপে দেড় গাঁট পরিমাণ, কাঁচা হলুদ হাতের আঙ্গুল মেপে আধা গাঁটের একটু কম পরিমাণ, গোলমরিচ পাঁচ-ছয়টা, মৌরী এক টেবিল চামচ, দারচিনি হাতের আঙ্গুল মেপে দুই গাঁট পরিমাণ, লবঙ্গ দুই-তিনটে, এলাচ একটা, লবণ স্বাদ মত, কালোজিরা আধা চা চামচ, মধু স্বাদ মত, পাতিলেবুর রস আধা চা চামচ, জল দুই গ্লাস ।
🔸পদ্ধতি : প্রথমে তুলসীপাতা, আদা, কাঁচা হলুদ, গোলমরিচ, মৌরী, দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ এই সবগুলো উপকরণ একসাথে থেঁতলে একটা তিন গ্লাস পরিমাণ জল ধরে এমন পাত্রে তুলে নেব এবং সেই পাত্রেই দুই গ্লাস পানীয়জল ঢেলে দেব। সাথে তেজপাতা, লবণ ও কালোজিরা ওই জলেই দিয়ে ওই উপকরণ মিশ্রিত জলটা ফুটতে দেব। যখন দুই গ্লাস পরিমাণ জল ফুটে আধা গ্লাস পরিমাণ হবে তখন আঁচ বন্ধ করে ওই জলের মিশ্রণটিকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দেব। কিছুক্ষণ পর ওই জলের মিশ্রণটি কাঁচ বা চিনামাটির পাত্রে ছেঁকে নিয়ে ওই জলের মধ্যে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে উষ্ণ বা হালকা গরম অবস্থায় সেবন করতে হবে।
Representative photo |
🔸সতর্কতা : এই দাওয়াই কখনওই অতিরিক্ত গরম বা পুরোপুরি ঠান্ডা অবস্থায় সেবন করব না। যতটা গরম আমাদের জিভ ও মুখগহ্বরের জন্যে স্বাস্থ্যকর হবে এবং একটু হালকা গরম সেঁক লাগবে ততটাই গরম সেবন করা উচিৎ।
🔸 কোনও উপকরণ নিজেদের ইচ্ছে মতো পরিমাণে দিয়ে দেবেন না, এতে আরও ক্ষতি হবে।
🔸 এই দাওয়াই কখনওই ভারী খাবার খাওয়ার পর পরই সেবন করতে যাব না। আমরা সব সময় চেষ্টা করব সকাল বা সন্ধ্যায় যখন পেট খালি থাকে বা নিতান্ত প্রয়োজন যদি হয় তবে খাবার খাওয়ার এক দেড় ঘণ্টা পর সেবন করব।
🔸 ডাক্তারের পরামর্শ এবং চিকিৎসায় ত্রুটি রাখা উচিৎ নয়।
🔸 সেবনের পরে অল্পবিস্তর কারও কারও পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বা চিন্তার কিছু নেই। দুই - তিন দিনে ঠিক হয়ে যাবে।
🔸 অনেকের অনেক উপকরণে অ্যালার্জি থাকতে পারে সেক্ষেত্রে আমি বলব সেই উপকরণটা বাদ দিয়ে বাকিগুলো ব্যবহার করবেন।
বিঃ দ্রঃ - ✅ সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
✅এই শীতে আমাদের শরীরের ভেতরে শুষ্কতা বিরাজ করে তাই আমাদের চামড়া ও চুলেও শুষ্কতা বিরাজ করে।
✅ অন্য সময়ের তুলনায় এই শীতে বেশি পরিমাণে জল খাব আমরা যাতে শরীর হাইড্রেট থাকে এবং শুষ্কতা কমে।
✅বেশী বেশী শাক -সবজি ও ফল খান। বেশী তেল, মশলা জাতীয় খাবার থেকে দুরে থাকুন।
✅ এক্সারসাইজ করুন, হাঁটুন স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখুন।
0 Comments