বিজলির যত্নে পুনঃরোপিত বটগাছে ‘কিশলয়’, খুশি পার্ক সার্কাসের প্রাতঃভ্রমণকারীরা

আসিফ রেজা আনসারী

সাধারণভাবে একটি বটগাছ ৫০০ বছর বাঁচে। কিন্তু দেখা যায় প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট নানান কারণে এই গাছ অকালেই প্রাণ হারায়। তবে কিছু কিছু মানুষ গাছের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। বর্তমান সময়ে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে, গাছপালার দিকে কর্পোরেটের কু-নজর পড়ছে। এমন সময় পুরানো গাছকে নতুন করে রোপন করে, যত্ন নিয়ে বাঁচিয়ে রেখে নজর কাড়ল শহর কলকাতা। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন এক সমাজকর্মী তথা তৃণমূল নেতা। 

কি ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, গত ১৯ জুন শরৎ বোস রোডে ১৫০ বছরের পুরানো একটি বটগাছ পড়ে যায়। সেই গাছকে কোথাও পুণঃরোপন করা যায় কিনা সেইটা দেখার জন্য কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের অফিস থেকে ফোন পান বিজলি রহমান। পার্ক সার্কাস এলাকার মানুষ বিজলি ফোনের পরেই ঠিক করেন গাছটি পার্ক সার্কাস ময়দানের কোথাও রোপন করা যেতে পারে।  যেই ভাবনা, সেই কাজ। সেদিনেই পুরানো গাছ রোপন সংক্রান্ত কাজের আর এক কান্ডারি প্রাক্তন আমলা মণীশ গুপ্তর সঙ্গে আলোচনা হয়। তারপর ডন বস্কো স্কুলের উলটো দিকে পার্ক সার্কাস ময়দানের ধারে ৪০ হাজার কেজি ওজনের বিশালাকার গাছটি লাগানো হয়। বিজলি রহমান রোজ নিয়মিত জল, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে কেমিক্যাল ইত্যাদি দিতে থাকেন। এবার ধীরে ধীরে সেহ গাছে এবার দেখা দিল নতুন পাতা বা কিশলয়। স্বাভাবিকভাবে খুশি বিজলি রহমান। যারা নিয়মিত ময়দানে প্রাতঃভ্রমণ করেন তাঁরাও খুশি। প্রতিবেদক জাব্বার আলি, সুজয় চক্রবর্তী, ডা. মলয় মণ্ডল নামে কয়েকজন প্রাতঃভ্রমণকারীর সঙ্গে কথাও বলেন।

নতুন পাতায় হাত রেখে সমাজকর্মী বিজলি রহমান 

এ নিয়ে বিজলি রহমান বলেন, মমতা দিদি আমরা আদর্শ, তাঁর অনুপ্রেরণাতেই পশু-পাখি ও গাছপালার প্রতি অন্যরকম ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। তাই তো রোজ নিয়ম করে গাছটি আমি দেখাশোনা করি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় একটা গাছ বাঁচাতে পারলেও বড় কাজ হবে বলে মনে করি। তিনি আরও বলেন, নরেন্দ্রপুরে আমার একটা বাড়ি রয়েছে, সেখানে কিছু ফলের গাছ আছে যেগুলি শুধু পশু-পাখির জন্যেই উন্মুক্ত রেখেছি। রোজ নিয়ম করে পাখি আসে, ফল খায়। 

দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের নেতা বিজলি রহমান জানান, তাঁরা নিয়ম করে গাছ লাগানো বা গাছের যত্ন নিতে চেষ্টা করেন। ১ জুলাই চিকিৎসক দিবসেও শহরে ১৫০টি বৃক্ষরোপন করা হয় বলে জানান বিজলি রহমান।

(সৌজন্যে পুবের কলম)

Post a Comment

0 Comments