কোনও অন্যায় ঘটলে মানুষ বিচার চাইবেন। এটাই স্বাভাবিক। আর ঠিক সেই কারণে আর জি কর-কাণ্ডের পর বহু মানুষ পথে নেমেছেন। মিটিং মিছিল হয়েছে নির্যাতিতার ইনসাফ চেয়ে। কিন্তু রাজ্য সরকারের চোখে এই ধরনের মিছিল মস্ত বড় অপরাধ। না এটা কোনও বানোয়াট কথা নয়। সরকারের নোটিশ ঘিরে এমন একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর যা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্যের প্রধানশিক্ষকদের সংগঠন এএসএফএইচএম।
এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, হাওড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জেলার তিনটি শিক্ষায়তনের প্রধানদের উদ্দেশ্য করে আর জি কর হসপিটালের ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে পাশবিকভাবে ধর্ষণ এবং খুন করা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা বিষয়ে বিচার চেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্রম মিছিলে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠিয়েছেন আজ (২৩/৮/২৪) এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই চিঠির উত্তর চেয়েছেন। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনা ব্রিটিশ আমলের পর স্বাধীনোত্তর যুগে কোথাও কখনও ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। এক ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুকে ঘিরে দ্রুত তদন্ত এবং বিচার চেয়ে আমাদের রাজ্য, দেশ এবং সারা বিশ্বে যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা- শিক্ষাকর্মী তার বাইরে নয়। রাজ্যজুড়ে যে আন্দোলন, অবস্থান, বিক্ষোভ চলছে তা এক কথায় নজিরবিহীন।
তিনি আরও বলেন, সেদিন আরজিকর হসপিটালে যে ভাঙচুর এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল তা রুখতে ৭০ জন কলকাতা পুলিশ রুখতে ব্যর্থ হয়েছিল। কোনও প্রধানশিক্ষকের পক্ষে শত শত ছাত্রছাত্রীর স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভকে সামাল দেওয়া কখনোই সম্ভব হয় না। কোথাও কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এ ধরনের বিক্ষোভ রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? কে দেবে সেই নিরাপত্তা? আমরা অবিলম্বে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মহাশয়কে তাঁর ঐ কারণ দর্শানোর চিঠি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানাই ।অন্যথায় আমাদের সাংগঠনিক প্রশাসনিক এবং আইনি লড়াই জারি থাকবে!
0 Comments