বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: ইন্তেকাল করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হাফিজ আলম সাইরানী। ইন্নালিল্লাহি ওয়া-ইন্না-ইলাইহি রাজিউন। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত ২৬ তারিখ তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি সোমবার দুপুর দেড়টায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তিনি রেখে গেলেন পুত্র, কন্যা এবং তাঁর স্ত্রীকে।
হাফিজ আলম সাইরানীর পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, কাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস অফিস বিধানভবনে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শায়িত রাখা হবে মরদেহ। তারপর সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিধানসভায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা থাকবে। সেখান থেকেই হাফিজ আলম সাইরানীর মৃতদেহ দেশের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়াতে নিয়ে যাওয়া হবে। ৩০ তারিখ বুধবার গ্রামের বাড়ি বিনারদহে জানাযার নামায হবে।
রাজ্যের এই প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের পশ্চিমবঙ্গ কমিটি। শোকবার্তা দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তিনি বলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা হাফিজ আলম সাইরানীর প্রয়াণে আমরা গভীর শোকাহত। আমরা প্রয়াত নেতার শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। সংসদীয় রাজনীতির আঙিনায় এবং প্রগতিশীল কর্মধারার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
হাফিজ আলম সাইরানী ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তিনি রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। সামলেছেন রাজ্যের ত্রাণ ও সমবায় দফতর। ২০০৬ সালের ভোটে দীপা দাসমুন্সির কাছে পরাজিত হন। পরে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে ২০২২ সালে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন।হাফিজ আলম সাইরানী চাকুলিয়ার সূর্যাপুরী বাঙালি মুসলিম জমিদার পরিবারে ১৯৬০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বড় ভাই রমজান আলীও বিধায়ক ছিলেন। চাকুলিয়া হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষ করে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। রমজান আলীর মৃত্যুর পর হাফিজ আলম সাইরানী ১৯৯৪ সালে প্রথমবার গোয়ালপোখর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন।
0 Comments