ধর্ষণ বা খুন নয়– আত্মহত্যা করেন কৃষ্ণনগরের তরুণী, নির্দোষ প্রেমিক?

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: দুর্গা পুজোর পর কৃষ্ণনগরের একটি পুজো মণ্ডপ থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণীর দেহ। সেই ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। তবে তদন্ত যত এগোচ্ছে বেরিয়ে আসছে নানান তথ্য। এবার সামনে এল মৃতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, পিএম (পোস্টমর্টেম) রিপোর্টে তরুণীর দেহে কোথাও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি ময়নাতদন্তে রিপোর্ট। তরুণীর গায়ে যখন আগুন লেগেছিল তখনও তিনি জীবিত ছিলেন। তাঁর শ্বাসনালী থেকে মিলেছে কার্বন। যা আগুনের ধোঁয়া থেকে উৎপন্ন হয়েছে বলে খবর।

কিন্তু ময়না তদন্তে রিপোর্টে বিষয়টি আগুন লেগে মৃত্যু নাকি নিছক আত্মহত্যা বা কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই বলা হয়নি। অন্যদিকে, প্রশাসন সূত্রে খবর,তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারস্থল থেকে যে কেরোসিনের বোতল পাওয়া গিয়েছিল সেই বোতলের আঙ্গুলের ছাপ ইতিমধ্যেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ দল সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি এও জানাচ্ছে, আদালতের কাছে প্রশাসনের তরফ থেকে আবেদন করা হবে, যাতে অভিযুক্ত প্রেমিকের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে ওই বোতলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলানো যায়।

Representative Image

কৃষ্ণনগরে তরুণী খুনে প্রকাশ্যে আসে সেই রাতের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। সিসি ক্যামেরার সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রাত দশটা চল্লিশ মিনিট নাগাদ কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক ভবনের দিক থেকে একাই হেঁটে ঘটনাস্থলের দিকে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। সে মারা যাওয়ার আগে রাতে হোয়াটসঅ্যাপে একটি স্ট্যাটাস দেয় তাতে বলেছে, কেউ তার মারা যাওয়ার জন্য দায়ী নয়। এমনকী, প্রেমিকও দোষী নয়। তাহলে কি একাধিক প্রেম ও টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলা থেকেই আত্মহত্যা? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।

প্রসঙ্গত, ১৬ তারিখ ভোরে কৃষ্ণনগরে পুলিশ সুপারের অফিসের অদূরে একটি প্যান্ডেলের মধ্যে থেকে ওই তরুণীর ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়। তা নিয়ে চলছে রাজনীতির টানাপোড়েন।

Post a Comment

0 Comments