বেলডাঙা: বন্ধ ইন্টারনেট, নাগরিক সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি উদ্বিগ্ন অধীরের

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: বেলডাঙায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আল্লাহর নামে কটুক্তিসূচক শব্দ ব্যবহারকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হয়। প্রশাসন অবশ্যই দ্রুত শান্তি ফেরাতে সক্ষম হয়েছে। যদিও মানুষের মনে এখনও চাপা উত্তেজনা এবং আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। এ দিকে প্রশাসন ১৬৩ (পূর্বতন ১৪৪) ধারা জারি করে রেখেছে। একইসঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। স্বাভাবিকভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নাগরিকরা নানান অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। এবার এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য সামনে আসা উচিত। সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই দাবি করলেন প্রাক্তন সাংসদ ও কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। এ নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখেছেন। 

ফেসবুক পোস্টে অধীর লেখেন, 'মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় আমি গভীর উদ্বিগ্ন। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকা এবং ধারা ১৬৩ জারির কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ অসহনীয় হয়ে উঠেছে।

Mamata and Adhir Chowdhury 

আমি পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছি, কেন এই উত্তেজনার সৃষ্টি হলো? কেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসন ব্যর্থ হলো? শান্তি ফিরিয়ে আনতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? মুর্শিদাবাদের মানুষের জীবন যেন দ্রুত স্বাভাবিক হয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে, তার জন্য অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, দ্রুত এই বিষয়ে বক্তব্য রাখুন অথবা একটি বিবৃতি জারি করুন যাতে মুর্শিদাবাদের মানুষের মধ্যে থাকা ভয়, হতাশা এবং অসহায়ত্ব দূর হয়। মানুষের স্বস্তি এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব। মুর্শিদাবাদ শান্তি চায়। মানুষ উত্তর চায়। 

এ দিকে মুর্শিদাবাদের দাঙ্গা প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই লেখালেখি করছেন। জিম নওয়াজ বলে এক সমাজকর্মী সরাসরি রাজ্য প্রশাসন এবং ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজের উপর অভিযোগ করেছেন। তিনি সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিকে এরকম টালমাটাল করে রাখতে কার্তিক মহারাজ নাটের গুরু হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে একটি পুজোতে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করা হয় বলে অভিযোগ। তাহলে প্রশাসন বারবার কেন দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঢিলেমি করছে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। 

Post a Comment

0 Comments