কেন্দ্রের টাকা বকেয়া, তিনবছর ধরে ভাতা পাচ্ছেন না আবাস যোজনার সমীক্ষা কর্মীরা

জাহানারা খাতুন

পশ্চিমবাংলা সরকারের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনামূলক আচরণে শুধু রাজ্য সরকার নয়, সাধারণ মানুষও সমস্যায় পড়ছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের পাওনা বকেয়া থাকার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরের কিছু অস্থায়ী কর্মী বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পে ২০১৬ সালের অর্ডার ও ২০১৭ সালে প্রায় নয় হাজার আবাস যোজনার ফেসিলিটেটর নিয়োগ হয়। তারা বিগত ২০১৯-২০, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভাতা পাচ্ছেন না। অভিযোগ, একটি বাড়ির সমীক্ষা থেকে শুরু করে কাজ সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত উপভোক্তা পিছু ৪০০ টাকা করে ভাতা পান ফেসিলিটেটররা। কিন্তু তিনটি আর্থিক বছরে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের পঞ্চায়েত বিষয়ক মন্ত্রক কোনও টাকা দিচ্ছে না বলে রাজ্যের তরফে কর্মীদের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। 

ডেপুটেশন প্রক্রিয়া 

জানা গিয়েছে, এই চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের ভাতার ৪০শতাংশ বহন করে রাজ্য সরকার। আর ৬০ শতাংশ হচ্ছে কেন্দ্রের অধীনে। এর পুরো টাকাটাই কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে। এক একজন কর্মী কেউ ৪০-৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন। আবাস যোজনার বাড়ি সমীক্ষা বাইরে স্যানিটেশন, সার্ভে করা ও জনসচেতনতার কাজ করেন এই অস্থায়ী কর্মীরা। সামান্য যাতায়াত বা অন্যান্য খরচ দেয় রাজ্য সরকার। অবিলম্বে যাতে বকেয়া ভাতা পরিশোধ করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কর্মীরা যাতে বাংলার আবাস যোজনায় কাজ পান সেই দাবি তোলা হয়েছে।


এমন নানান অভিযোগ ও দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হয় রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরে। এই ডেপুটেশন কর্মসূচি ঘিরে প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মচারী কলকাতায় জমায়েত হয়। নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল্লাহ শেখ, মুর্শিদাবাদ জেলার কো-অর্ডিনেটর রাখিয়া খাতুন, পূর্ব মেদিনীপুরের গোপিকান্ত মণ্ডল প্রমুখ। রাজ্যের তরফে বকেয়া ভাতা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে খবর। তবে কবে বকেয়া টাকা দেওয়া হবে তার সদুত্তর নেই। পঞ্চায়েত দফতরের তরফে কেন্দ্রের কাছে তদবির করবে এবং সমাধানের চেষ্টা করবে বলেন জানান এক অফিসার।

Post a Comment

0 Comments