বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: সামনেই পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরিচালনায় মাধ্যমিক পরীক্ষা। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে পরীক্ষা, অথচ বুধবার পর্যন্ত বহু পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড পায়নি। তাদের পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত। পর্ষদের অনমনীয় মনোভাবের জন্য এই অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
এ নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায়
অ্যাডভান্সড সোসাইটি
ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস বা এএসএফএইচএম–এর পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি জানান, এ বছর প্রথম অনলাইন
সিস্টেমে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করানো
হয়েছিল। শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের নানান প্রতিকূলতা ও
সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও
বহু স্কুল নিজেদের তাগিদেই
সব কাজ সঠিকভাবে করতে
পেরেছে। অনেক স্কুলের কাছে সেটা সম্ভব
হয়নি। যার
ফলে একই নামে থাকা
দুজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছবি এবং
তথ্য আলাদা হয়ে যাওয়ায়
বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনলাইনে এডিট
অপশন দিলেই সমস্যাটা মিটে
যেত। যেখানে
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোনও কাজ নেই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
তরফ থেকেই সমস্ত কাজ
করে দেওয়া হচ্ছে অথচ
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সমস্ত অর্থ
পরীক্ষা ফি বাবদ নিচ্ছে। কিন্তু
এডিট অপশন না দেওয়ার
ফলে, সংশোধনের সুযোগ না থাকার
ফলে ঐ সকল শয়ে শয়ে
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবং তাদের
অভিভাবকের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের
সঞ্চার হয়েছে। শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ঘিরে তারা তাঁদের
ক্ষোভ জানাচ্ছেন। শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বারে
বারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে
কোন সমাধান সূত্র পর্ষদের
অনমনীয় মনোভাবের জন্য পাওয়া যাচ্ছে
না।
0 Comments