বাংলা সংগীতজগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত প্রতুল মুখোপাধ্যায়

অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়

 দীর্ঘদিন ধরেই ছিলেন অসুস্থ, লোক চক্ষুর অন্তরালে থেকেও তার উপস্থিতি বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি এবং সংগীতের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না ৮৩ বছর বয়সেই থেমে গেল প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠ। এক ভিন্ন স্বাদের সংগীত পরিবেশনায় তার জুড়ি মেলা ভার, নিজের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে কিভাবে সংগীতের বাদ্যযন্ত্র হিসেবে প্রকাশ করা যায় তা বাংলা সংগীত সমাজ প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকেই শিখেছে শুধুমাত্র গিটার এবং মুখকে সংগীতের সহায়ক হিসেবে কিভাবে পরিচালনা করতে হয় তা আমরা বারবার দেখতে পেয়েছি প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের পরিবেশনায়।


 প্রতুল মুখোপাধ্যায় ছিলেন আপাদ মস্তক শিল্পী, তাই শিল্পী সত্তার চরিত্র স্বরূপ পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের বিভিন্ন ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন, পা মিলিয়েছেন মিছিলে হয়ে উঠেছিলেন পরিবর্তনের মুখ কিন্তু কোনদিনই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেননি ছাপোশা ব্যাংক কর্মচারী হিসেবে জীবন অতিবাহিত করেছেন তাইতো শিল্পী মহল থেকে শুরু করে শিক্ষামহল,সাহিত্য মহল এর কাছে তিনি ছিলেন আদরের 'প্রতুল দা ' আজ তার মৃত্যুতে সেই অধ্যায়ের শেষ হলো তার গান শিখিয়েছে প্রতিবাদে মুখর হতে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে, তাই তার মৃত্যু হতে পারে না, শিল্পীর মৃত্যু হতে পারেনা, মৃত্যু হতে পারে না প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মত মানুষের, তাই পরিশেষে তার গানের কলিতেই বলা যায়....

     " সব মরণ নয় সমান "

Post a Comment

0 Comments