বেহাল দশা বিড়ি শ্রমিক হাসপাতালের, দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়ে মন্ত্রীর কাছে সাংসদ ইশা খান

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: বিড়ি শ্রমিকরা সামান্য মজুরিতে কাজ করেন। অসুখ-বিসুখ হলে চিকিৎসার সামর্থ্য থাকে না। এ কথা ভেবে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত তারাপুরে ২০০০ সালে ঐতিহাসিকভাবে একটি শ্রম হসপিটাল স্থাপিত হয়েছিল। ফারাক্কা সামসেরগঞ্জ ও বৈষ্ণবনগরের প্রায় পাঁচ লক্ষের অধিক বিড়ি শ্রমিক এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে এই হাসপাতালের বেহাল দশা। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, চিকিৎসা সহযোগী অন্যান্য কাজও সঠিকভাবে হয় না। এই সমস্যার সমাধান চান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন মালদহ দক্ষিণের সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী। 

স্মারকলিপি প্রদান 

স্থানীয়রা বলছেন, তিন ভাগের এক ভাগ ডাক্তার ও কর্মীকে নিয়ে এই হাসপাতালটি অত্যন্ত করুণভাবে চলছে। অপারেশন থিয়েটার চালানোর জন্য সার্জন, গাইনোকোলজিস্ট বা রেডিওলজিস্টের মতো কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এমনকী, ইউ.এস.জি এবং ই.সি.জি মেশিনের জন্যও কোনও অপারেটর নেই। ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকায় ল্যাবরেটরিটিও চালু নেই। এই দুরবস্থার কথা পূর্বে শ্রমমন্ত্রক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকে জানানো হয়েছিল। কাজ হয়নি। এই কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত  হাসপাতালে স্থায়ী ডাক্তার নিয়োগ, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় শ্রম দপ্তরের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে দক্ষিণ মালদার সাংসদ ইশা খান চৌধুরী কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ডা. মনসুখ মান্ডাভিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের অনুরোধ জানান।

Post a Comment

0 Comments