জাহানারা খাতুন
এক মামলার ভিত্তিতে এসএসসির ২০১৬ সালের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছে দেশের শীর্ষ কোর্ট। তারপর কেটে গেছে প্রায় এক সপ্তাহ। এখনও শিক্ষা দফতরের বেতন পাওয়ার নির্দিষ্ট পোর্টালে নাম রয়েছে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, আদালতের রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকরা বেতন পাবেন নাকি পাবেন না। এরই মধ্যে বড় আশ্বাস দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবারই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, বেতনের বিষয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনও স্কুলে কোনও শিক্ষককে বাদ দেওয়া হয়নি। কোথাও বেতন বন্ধের কথা বলাও হয়নি।
![]() |
প্রতীকী ছবি |
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল নেতাজি ইনডোরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী চাকরিপ্রার্থীদের বরাভয় দিয়ে বলেছিলেন, আমে বেঁচে থাকতে কাউকে চাকরিহারা হতে দেব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, শীর্ষ আদালতে সমস্যার সুরাহা না হলে রাজ্য বিকল্প ব্যবস্থা করবে। এজন্য চাকরিহারাদের স্কুলে গিয়ে স্বেচ্ছায় পড়াতেও অনুরোধ করেন মমতা। অন্যদিকে মিরর ইমজ প্রকাশ করে যোগ্য ও অযোগ্য বাছাইয়ের দাবিতে বুধবার রাজ্যজুড়ে ডিআই অফিসে বিক্ষোভ দেখায় সদ্য চাকরিহারাদের একাংশ। কসবা, বর্ধমানে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার শহরে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তাতে নাগরিক সমাজ শামিল হবে। আর শুক্রবার হবে চাকরিহারাদের অভিযান।
0 Comments