পহেলগাঁও: শোক মিছিল যুব ফেডারেশনের

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক:  কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ঘটনায় দেশজুড়ে জনমানসে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি তৎপরতাও তুঙ্গে। এরই মধ্যে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি এবং নিহত মানুষদের স্মরণে বিশেষ শোক মিছিল করল সামাজিক সংগঠন সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন। এই সংগঠনের ডাকে সোমবার সন্ধ্যাবেলা ধর্মতলা চত্বরে একটি মোমবাতি মিছিল হয়। সংগঠনের নেতৃত্ব ছাড়াও পথচলতি বহু সাধারন মানুষ এই মিছিলের শামিল হন। নিজেরা শোকজ্ঞাপন করেন। একইসঙ্গে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাসেমী, নাজমুল আরফিন, শিক্ষক আলী আকবর, সমাজকর্মী আবদুর রউফ, বিলকিস বিবি, হান্নান খান প্রমুখ।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, যারা এই জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বার করে সবাইকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। দেশের মাটিতে বারবার কেন এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটবে তা নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মব-লিঞ্চিং সংখ্যালঘু মানুষদের প্রতি নির্যাতন ইত্যাদির জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন দরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কোনোভাবেই যাতে অসংবিধানিক কোনো কাজ কে প্রশ্রয় না দেওয়া হয় সরকার যাতে জাত ধর্ম না দেখে দেশের নিরাপত্তা শান্তি শৃঙ্খলা ও উন্নয়ন উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখে সেই দাবি দাবিতে সরব হন মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

এ দিকে বিশিষ্ট শিক্ষক ও সমাজকর্মী আবদুর রউফ বলেন, আমাদের দেশে এক শ্রেণির মিডিয়া জাত-ধর্ম দেখে খবর পরিবেশন করছে, এটা লজ্জার। সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম কিংবা জাতি হয় না, ফলে বিশেষ কোনও ধর্মের সঙ্গে তাদেরকে আখ্যায়িত করার মধ্য দিয়ে মিডিয়ার একাংশ দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব নষ্ট করছে। সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ছবি তুলেছেন সোমনাথ দাস

অন্যদিকে মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাসেমী বলেন, দেশের স্বার্থে সরকারকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। জাত-ধর্মের নামে বিভক্ত না হয়ে মানুষকে এক হয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও অশান্তি প্রতিরোধ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিজেপি নেতারা বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই ধরনের মানুষের বিরুদ্ধে সরকারকেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেওয়ার বদলে তারা বিভাজন করছে, এই বিভাজন আমরা মানতে চাই না। আমরা দেশের স্বার্থে এই মিছিলে শামিল হয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করারও আর্জি জানান তিনি।

এ দিকে হোসেন গাজীর বক্তব্য, ভারত সরকার যদি সঠিকভাবে তদন্ত করে এবং দোষীদের শাস্তি দেয় আমরা খুশি হব। আসলে কিছু মানুষ এই ঘটনাকে নিয়ে হিন্দু মুসলিম বিভাজন করার চেষ্টা করছে। এই বিভাজন রুখতে সরকারকেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

Post a Comment

0 Comments