বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: সম্প্রতি পার্লামেন্টে পাস হয়েছে ওয়াকাফ সংশোধনী বিল। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতির সই-এর মাধ্যমে তা আইনে রূপান্তরিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আইন লাগু করার কথাও গেজেট নোটিফিকেশনে জানিয়েছে। এরই বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে একাধিক সংগঠন ও ব্যক্তি। ওয়াকফ নিয়ে বিভিন্ন মামলার প্রথম শুনানি ছিল বুধবার। এ দিন ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে বিঁধেছে আদালত। অন্যদিকে, ওয়াকফ নিয়ে রাষ্ট্র কিভাবে ব্যক্তির ধর্ম ঠিক করে দিতে পারে, প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল।
বুধবার আদালত তুষার মেহতাকে জিজ্ঞাসা করেছে, 'আপনি কি বলছেন যে এখন থেকে আপনি মুসলমানদের হিন্দু এন্ডোমেন্ট বোর্ডের অংশ হতে দেবেন। এটি প্রকাশ্যে বলুন।
![]() |
প্রতীকী ছবি |
অন্যদিকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল আদালতের কাছে জানতে চান, 'রাষ্ট্র কীভাবে ঠিক করে দিতে পারে যে আমি মুসলিম কিনা এবং ওয়াকফ তৈরির যোগ্য কিনা? সরকার কীভাবে বলতে পারে যে কেবল যারা গত পাঁচ বছর ধরে ইসলাম অনুশীলন করছেন তারাই ওয়াকফ তৈরি করতে পারবেন?
এ দিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে জিজ্ঞাসা করেছে কীভাবে 'ব্যবহারকারী দ্বারা ওয়াকফ' বা এই জাতীয় ওয়াকফ যার বেশিভাগেরই নিবন্ধিত নথি নেই, সেগুলি আপনি নিবন্ধন করবেন? তাদের কাছে কী নথি আছে? এটি কিছু একটা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনবে। হ্যাঁ, কিছু অপব্যবহার আছে। কিন্তু সঠিকও আছে। আমি প্রাইভি কাউন্সিলের রায়ও দেখেছি। ব্যবহারকারীর দ্বারা ওয়াকফ স্বীকৃত। যদি আপনি এটি বাতিল করেন তবে এটি একটি সমস্যা হবে। আইনসভা কোনও রায়, আদেশ বা ডিক্রি বাতিল ঘোষণা করতে পারে না। আপনি কেবল ভিত্তি হিসাবে তা নিতে পারেন।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নয়া ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত দ্বারা ঘোষিত কোনও ওয়াকফকে ওয়াকফ নয় এমন বিজ্ঞাপিত করা যাবে না, এমনকি সেগুলো যদি ব্যবহারকারীর কারণে ওয়াকফ বা দলিল দ্বারা নথিভুক্ত ওয়াকফও হয়।
আদালত সূত্রে খবর আগামীকাল বৃহস্পতিবার মামলার ফের শুনানি হবে তারপর বেশ
0 Comments