বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: অমুসলিম পড়ুয়াদের জোর করে নামায পড়ানোর অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয়েছে দেশের রাজনীতি। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এনসিসি ক্যাম্পে জোর করে অমুসলিম অর্থাৎ হিন্দু পড়ুয়াদের নামায পড়ানো হয়েছে। এ ঘিরে বেশ কিছু সংগঠনের তরফে প্রতিবাদও জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ৭ জন শিক্ষক ও ১ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার অর্থাৎ গতকালই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। কারণ, এই ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এনসিসি ক্যাম্পে জোর করে নামায পড়িয়েছিলেন অ-মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের। ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে অবস্থিত গুরু ঘাসিদাস কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই ঘটেছে এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ২৬ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত চলেছিল এই এনসিসি ক্যাম্প। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন ১৫৯ জন ছাত্র-ছাত্রী। কোটা থানার অধীনে শিবতরাই গ্রামে এই এনসিসি ক্যাম্প চলছিল। জানা গিয়েছে, এই ১৫৯ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে মাত্র ৪ জনই ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের। কিন্তু তারপরেও সকলকেই নামায পড়তে বাধ্য করানো হয়। হিন্দু হয়েও হিন্দুদের এরকম জোর করে নামায পড়ানো নিয়ে অনেকেই মনে করছেন, এর পিছনে হয়ত সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির কোনও চক্রান্ত ছিল।
জানা গিয়েছে অভিযুক্তরা হলেন দিলঝা, মধুলিকা সিং, জ্যোতি বর্মা, নীরজ কুমারি, প্রশান্ত বৈষ্ণব, সূর্যভান সিং এবং বসন্ত কুমার। তারা সকলেই গুরু ঘাসিদাস কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। এর সঙ্গেই মামলা দায়ের হয়েছে ছাত্র-নেতা আয়ুষ্মান চৌধুরীর নামেও। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৬ (বি), ১৯৭(১) (বি) (সি), ২৯৯, ৩০২, ১৯০, ও ছত্তিশগড় ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের ৪ নং ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রথমে কোনি থানায় এই মামলা দায়ের করা হয় এবং পরে মামলাটি বিশদ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কোটা থানায়।
0 Comments