বিশেষ অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত আদালত সাংবাদিক মোল্লা জসিমউদ্দিন ও কবি আকমাল হোসেন

নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গল মিরর, কলকাতা: সোমবার দেশজুড়ে ভারতের সংবিধান প্রণেতা ড. বিআর আম্বেদকারের জন্মদিবস পালিত হয়। এ দিন কলকাতার রাজ্য যুবকেন্দ্র মৌলালী ভবনের স্বামী বিবেকানন্দ কনফারেন্স হলে মহাসমারোহে পালিত হল আম্বেদকারের জন্মদিন। সারা রাজ্যে শতাধিক গুণীজনদের সমাগম ঘটে এই সভাগৃহে । 'আম্বেদকার কালচারাল কলেজে'র তরফে বিভিন্ন বিষয়ে সম্মান প্রদান করা হয়।এর মধ্যে  'মহাপ্রাণ স্মৃতি স্বর্ণপদক' সম্মানে সংবর্ধিত হলেন 'আদালত সংবাদদাতা' মোল্লা জসিমউদ্দিন। অন্যদিকে কবি আকমাল হোসেনও সম্মানিত হন।

প্রসঙ্গত, জসিমউদ্দিন বর্তমানে রাজ্যের এক বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার 'হাইকোর্ট সংবাদদাতা' হিসাবে কাজ করছেন। এছাড়া তিনি বিগত ৫ বছর ধরে হাওড়া জেলা আদালত ও শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে জাতীয় লোক আদালতে 'বেঞ্চ মেম্বার' হিসাবে থাকেন। সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্টের 'নন অ্যাডভোকেট মিডিয়েটর' হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন তিনি। জসিমের প্রয়াত বাবা মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা বিগত ১৯৮৩ সালের জুডিশিয়াল পরীক্ষায় রাজ্যের টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।

এ দিন সংবর্ধনা পেয়ে মোল্লা জসিমউদ্দিন জানান, যেকোনো পুরস্কার কাজের গতি কে আরও বিকশিত করে থাকে। অন্যদিকে উদ্যোক্তা সংগঠনের কর্ণধার দিলীপ বিশ্বাস জানান– সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষদের উৎসাহিত করাটা আমাদের অন্যতম কর্তব্য"। এ দিন এই সভাগৃহে ড. নির্মল মাঝী, পদ্মশ্রী প্রাপক লোকসংগীতশিল্পী রতন কাহার, প্রাক্তন জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী,  বাচিকশিল্পী সোনালি কাজি, পরিবেশপ্রেমি পুলিশ অফিসার সমরেন্দু চক্রবর্তী, কবি সেখ আব্দুল জব্বার, স্বপন দত্ত বাউল প্রমুখ ছিলেন।

আকমাল হোসেন বর্তমানে সময়ে খুব পরিচিত একজন কবি। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ সাহিত্যজগতে সাড়া ফেলেছে। মালদার বাসিন্দা এই কবি দেশ–বিদেশের নামিদামি পত্রপত্রিকার নিয়মিত লেখক।তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি লিখতেই ভালোবাসি, পুরস্কার বা সংবর্ধনা অবশ্যই উৎসাহ যোগায় কিন্তু আমি মানুষকে কিছু দিতে তাগিদ অনুভব  করি তাই শুধি লিখে যাই।.