বেঙ্গল মিরর, বীরভূম: লোকসভায় যখন ওয়াক সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা কিংবা ভোটাভুটি হচ্ছে, সেই সময় অনুপস্থিত ছিলেন বীরভূমের সাংসদ অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। তার এই অনুপস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এই বিতর্ক শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ নেই। এখন দলের কর্মীদের মধ্যেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তাকে যাতে প্রার্থী না করা হয়, এমনও দাবি জানাতে শুরু করেছে মানুষজন। শতাব্দী রায় পার্লামেন্টে অনুপস্থিতি নিয়ে দাবি করেছিলেন তার শরীর অত্যন্ত খারাপ ছিল। এমনকি স্যালাইন চলছিল বলেও তিনি দাবি করেন। তাতেও শুনতে নারাজ বীরভূমের সংখ্যালঘু সমাজ। কারণ, তার একদিন পরেই রামনবমীর মিছিলের সাংসদকে হাঁটতে দেখা গেছে। যিনি ভীষণ অসুস্থ কিভাবে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে এবং গরমের মধ্যে হাঁটতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
অন্যদিকে আরেক সাংসদ কোচবিহারের জগদীশ বসুন্দিয়া দাবি করেন, তিনি আগে থেকে জানতেন না। এমন সময় তাকে জানানো হয় সে সময় দিল্লিতে যাওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না। তাহলে কি তৃণমূল ছক কোষেই কয়েকজন সংসদকে বাইরে রেখেছে? প্রশ্ন উঠছে। আর অভিনেতা দেব এ নিয়ে অবশ্য কিছুই বলতে চাননি। তিনিও রামনবমীর মিছিলের হেঁটেছিলেন।
এ দিকে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে যেমন সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে আর্জি জানানো হয়েছে, একইভাবে এই আইন বাতিলের দাবি তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি সুপ্রিমকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই নয়া আইন কিভাবে ভারতবর্ষে বৈষম্য সৃষ্টি করছে এবং একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে সেই দাবি তুলেছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। অবিলম্বে আইন বাতিল করতে হবে বলে তার দাবি। তিনি আশাবাদী দেশের শীর্ষকোর্ট তার আবেদনের সাড়া দেবে।
0 Comments